জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি অনুসারী এক নেতার বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদক অনুসারী এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসা। তিনি হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন। ভুক্তভোগী শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের অনুসারী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহী আল তানভীর হাসানাত। তিনিও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি। এদিকে মারধরের বিষয়ে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর হামলার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন ভুক্তভোগী তানভীর।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে একাউন্টিং অ্যালামনাইয়ের প্রোগ্রামে ভুক্তভোগী হামলার শিকার হয়।হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইসা ইসলামের নেতৃত্বে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী তানভীরকে অনুষ্ঠানস্হল ত্যাগ করতে বলে, কিন্তু তানভীর চলে যেতে রাজি না হওয়ায় তারা তাকে মারধর শুরু করে। মারধরের একপর্যায়ে তানভীর রক্তাক্ত হয়ে পড়লে একাউন্টিং অ্যালামনাইয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দৌড়ে এসে তাকে রক্ষা করে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত ইসা আরও লোকজন এনে ভুক্তভোগীকে মারতে উদ্যত হলে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে তানভীরকে সরিয়ে নিয়ে তাঁর রুমে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।
ভুক্তভোগী তানভীর বলেন, আমার ওপর বিনা কারণে আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা অনেকটুক জায়গা ছেড়ে নাচানাচি করছিলাম। ইসা হঠাৎ করে তুই বলে সম্বোধন করে আমার এক বন্ধুর জামা টেনে ধরেছে। পরবর্তীতে আমাকে মেরেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইসা বলেন,'আমাদের সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। পরে এটা মিটমাট করে দেয়া হয়েছে। আর আমাকে বিভাগের পদ থেকে সরানো হয়েছে। আমাদের সমঝোতার সময়ই এটা বলে দেয়া হয়েছিল।'
শাখা ছাত্রলীগ বলছে অভিযুক্ত ইসা কে মৌখিকভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, 'দুই বিভাগের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। এটা আমরা মিমাংসা করে দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ইসা কে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি মৌখিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছি। পরবর্তীতে এ নিয়ে চিঠি দিয়ে দেওয়া হবে।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, একটি অভিযোগ আজকে এসেছে। দু'জন সহকারী প্রক্টরকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্হা নেয়া হবে।